এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় জুয়া খেলতে বাধা ও টাকা না দেয়ার জেরে ছয়মাসের অন্তস্বত্তা স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছে জুয়াড়ি স্বামী মোহাম্মদ কালু। ওইসময় আক্রান্ত নারীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে একইভাবে মারধরের শিকার হন তাঁর বাবা, ভাই ও প্রতিবেশিসহ চারজন। আহতদেরকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের কাসিমআলী সিকদারপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।
আহতরা হলেন অন্তস্বত্তা গৃহবধু পারুল আকতার (২৪), তাঁর বাবা বদর মিয়া (৬৬), ভাই মোহাম্মদ রাসেল (২১) এবং প্রতিবেশি মনজুর আলম (৩৬)
এলাকাবাসি জানান, কাসিম আলী সিকদার পাড়া গ্রামের কৃষক বদরমিয়ার মেয়ে পারুল আক্তারের সাথে বছর আগে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ কালুর। বিয়ের পর সংসার জীবন ভালভাবে অতিবাহিত হলেও কয়েকমাস আগে থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়।
এলাকাবাসির দাবি, স্বামী কালু এলাকায় খারাপ প্রকৃতির কিছু লোকের সাথে জড়ো হয়ে শুরু করে জুয়া খেলা। মুলত এ ঘটনার জের ধরে কালু সাথে স্ত্রী পারুলের প্রায় সময় বাড়িতে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হতো।
আক্রান্ত নারীর ভাই রাসেল জানান, গত দুই দিন ধরে ভগ্নিপতি কালু জুয়া খেলার টাকার জন্য আমার অন্তস্বত্তা বোনকে বেদড়ক মারধর করে বাপের বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার ব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করলে রোববার রাতে ভগ্নিপতি কালু ও তার চাচা আনোয়ার হোসেন উল্টো তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এসময় কালুসহ তার সহযোগিরা আমাদের ওপর হামলা করে
আহত গৃহবধু পারুল আক্তার জানান, বিয়ের কয়েকমাস পর বুঝতে পারলাম আমার স্বামী একজন পেশাদার জুয়াড়ি। নিত্যদিন জুয়া খেলে ও নেশা জাতীয় দ্রবাদি পান করে গভীর রাতে বাড়ি ফিরে আমাকে নির্যাতন করে। কয়েকদিন আগে রাতে বাড়িতে এসে জুয়া খেলার জন্য আমার কাছে টাকা চাইলে তাতে আমি রাজি হয়নি। এরপর আমাকে ব্যাপক মারধর করে বাপের বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত পারুল আকতার।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চোধুরী বলেন, এ ধরণের ঘটনা বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।
পাঠকের মতামত: